সারা দেশে সোমবার দোয়া দিবস ও শুক্রবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের নতুন কর্মসূচি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক।
অন্যদিকে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভের দিন অর্থাৎ আগামী ২ এপ্রিল এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার দিন ধার্য করা আছে। এদিন সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। এই পরীক্ষায় রেকর্ডসংখ্যক এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আল্লামা মামুনুল হক বলেন, সোমবার শহীদ ও আহতদের জন্য সারা দেশব্যাপী দোয়া অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী শুক্রবার (২ এপ্রিল) সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে। পরবর্তীতে প্রেক্ষাপট অনুযায়ী কয়েক দিনের মধ্যে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার ব্যাপারেও জানান তিনি।
ভর্তি পরীক্ষার দিনে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে কিনা সে বিষয়ে আশংকা প্রকাশ করেছে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, চলতি বছর রাজধানীসহ দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গতবছর ১৯টি কেন্দ্রে ভেন্যুর সংখ্যা ছিল ২৭টি।
তবে করোনার কারণে এবার ভেন্যুর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। কারণ পরীক্ষার হলে সামাজিক দূরত্ব মেনে আসনবিন্যাস করা হবে। বর্তমানে সরকারিভাবে পরিচালিত মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৩৭টি। এগুলোতে মোট আসন সংখ্যা চার হাজার ৩৫০। এ বছর এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৪টি আবেদনের হিসাবে আসনপ্রতি লড়বেন ২৮ জন।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় করোনা আক্রান্তদের আলাদা পরীক্ষা!
মেডিকেল ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের আলাদারুমে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রকে এজন্য পৃথকরুম প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করছি।
২৬ মার্চ রাতে এসব কথা জানান ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ডা. এ কে এম আহসান হাবীব।
তিনি বলেন, আগামী ২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, তাপমাত্রা পরিমাপের যন্ত্র রাখা হবে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে আলাদা একটি রুমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দিতে চাইলে তার পরীক্ষা সেই রুমে নেয়া হবে।
ডা. আহসান হাবীব আরও বলেন, করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা চিন্তায় আছে। তবে তাদের চিন্তার কিছু নেই। পরীক্ষা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশা করছি আমরা সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারব।