হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় এক ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. ফয়েজ উদ্দিন।
দলীয় ‘শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত’ থাকার অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের জেলার ছাতক উপজেলায়।
সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগ নেতা ফয়েজ উদ্দিন ফেসবুকে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের পক্ষে স্ট্যাটাস দেন। মামুনুল হকের ফেসবুক লাইভও শেয়ার করেন। তার এসব কর্মকাণ্ডের পরই তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। তবে এ ব্যাপারে মো. ফয়েজ উদ্দিনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রয়াল রিসোর্টের ৫ম তালার ৫০১ নম্বর কক্ষে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে ‘নারীসহ’ অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা।
পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। মামুনুল হকের দাবি, সঙ্গে থাকা নারী নাম আমিনা তৈয়ব। তিনি মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী। আমিনাকে সঙ্গে নিয়ে রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি।
মাওলানা মামুনুল হক ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে নাম বলেন আমিনা তৈয়বা। যদিও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার নাম জান্নাত আরা ঝর্না। ঝর্নার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশের গণমাধ্যম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রচারের পর বিষয়টি জানাজানি হয় সেই নারীর গ্রামেও। তবে, ঝর্নার আগে আরেকটি বিয়ে হয়েছে; দুটি সন্তান আছে। এ কথা সবাই জানলেও দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানেন না এলাকাবাসী।