জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বদ্যিালয়ে (জাবি) সুইমিংপুল সংলগ্ন জলাশয়ে জাল দিয়ে মাছ চুরি করতে এসে ১০ জন আটক হয়েছেন। রোববার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. জেফরুল হাসান চৌধুরী সজলের উপস্থিতিতে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছে মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জামসহ বড় জাল পাওয়া যায়।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানান, জাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান রাসেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাম্প হাউজের ড্রাইভার কালাম এবং ফারুক নামে একজন বর্তমান ছাত্র তাদের মাছ ধরতে পাঠিয়েছে।
তবে মাছ চুরির সরঞ্জামসহ আটক হলেও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
মাছ ধরার নির্দেশনার বিষয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল হাসান রাসেল বলেন, ‘অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে করিম ফোন দিয়ে বলে যে ওদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ধরেছে। তাই তাদেরকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করতে বলে। কিন্তু তাকে বলি যে, আমি তো সাবেক হয়ে গেছি, আমি কিছু করতে পারব না। অনেক জোর করার পর আমি বলি, আচ্ছা ঠিক আছে আমি দেখি। এরপর আমি আর কাউকে কল দেইনি।’
এ বিষয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল বলেন, আমাদের দার্য়িত্ব ছিলো তাদেরকে ধরা। আমরা তাদেরকে ধরে এস্টেট অফিসে অবহিত করেছি। বাকিটা এস্টেট অফিসের দায়িত্ব।’
আটকদের ছেড়ে দেওয়া হলো কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আ রহমান বলেন, কেন ছাড়া হয়েছে তা আমার জানা নেই। তারা সরাসরি নিরাপত্তা অফিসের আওতায় ছিল। নিরাপত্তা শাখা এ বিষয়ে লিখিত দিলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ. স. ম ফিরোজ-উল-হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ওরা মাছ ধরতে আসছিলো কিন্তু মাছ ধরতে পারেনি। পরে তাদের স্টেটমেন্ট রেখে সিকিউরিটি অফিস তাদের ছেড়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, তারা আসলে গরীব মানুষ তাদেরকে কেউ না কেউ নিয়ে আসছে। কালাম নামের একজন স্টাফ এটার সাথে যুক্ত থাকার বিষয়ে শুনেছি। সিকিউরিটি অফিসকে বলেছি, আমাদের কোনো স্টাফ যদি কেউ এটার সাথে যুক্ত থাকে তাকে যেন জবাবদিহি করা হয়।