৪ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৯২ জন শিক্ষার্থী, এর মধ্যে পাশ করেছে ৪৮৯৭৫ জন শিক্ষার্থী। যা মোট পরীক্ষার্থীর ৩৯.৮৬ শতাংশ।
গত ২ এপ্রিল (শুক্রবার) এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১০০ মার্কের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে নেয়া হয় এই ভর্তি পরীক্ষা, যেখানে পাশ নম্বর ছিল ৪০। লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে (মেধা ও পছন্দ অনুসারে) ৪৩৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে ৪৭ টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। এর মধ্যে সেকেন্ড টাইমার ৪১৩ জন।
নির্বাচিত ৪৩৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৩৪১ জন (৫৪%) ছাত্রী এবং ২০০৯ জন (৪৬%) ছাত্র। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন মিশরী মুনমুন নামে একজন ছাত্রী। তার প্রাপ্ত স্কোর ২৮৭.২৫।
ফলাফল প্রকাশিত হবার পরপরি মিশরী মুনমুন কে নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়া তে।
তার সফলতার রহস্য কি, কীভাবে পড়তেন, কোথায় কোচিং করতেন, কোন বইগুলা পড়ে প্রস্তুতি নিতেন এসব জানার জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে হাজার হাজার জুনিয়র শিক্ষার্থী। মিশরী মুনমুন জয়কলি’র বই পড়েছেন কিনা এ নিয়ে রীতিমত ফেসবুকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তোলপাড় ! কেউ বলছেন অবশ্যই পড়েছে, কেউ বলছেন পড়েনি !
সম্পরতি তিনি একটি লিখিত পত্রে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জয়কলি পাবলিকেশন্স কে। নিচে তার লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো :
“জয়কলী পাবলিকেশন্সকে অভিনন্দন। আমি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী থেকেই জয়কলি পাবলিকেশনের বই অনুযায়ী অনুশীলন করতাম। জয়কলির বিচিত্রা সিরিজ আর মেডি সিরিজ দুটোই Practice করেছি। মেডিকেল প্রিপারেশনের জন্য মেডি সিরিজটা বেশ উপযোগী। এছাড়া শেষের দিকে জয়কলি হাইলাইটস প্রকাশিত হয়। এতে যেসব information দেয়া থাকে, সেগুলো বেশ কার্যকর শেষ মূহুর্তের প্রিপারেশন হিসেবে। তাই মেডিকেল ভর্তিযুদ্ধে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে, আমার মনে হয়, একদম প্রথম থেকেই জয়কলি সিরিজের বইগুলো পড়া উচিত আর সেগুলো বারবার অনুশীলন করা উচিত। “
মিশরী মুনমুন
সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা